আজ ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নৌকা চায়

মো:সারোয়ার জাহান,বিশেষ প্রতিনিধি
সারাদেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় কিন্তু কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে অর্থাৎ করিমগঞ্জ- তাড়াইলে আওয়ামী লীগের দুর্দশার অন্ত নেই।নির্বাচনে টানা তিন  মেয়াদে এ আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য বিদ্যমান আছে। দীর্ঘদিন ধরে সংসদ নির্বাচনে করিমগঞ্জ-তাড়াইলে নৌকা প্রতীক না দেওয়ায় এখানে আওয়ামী লীগের কোনো ঐক্য নেই।অপরদিকে বিএনপিরও কোন ভালো অবস্থান নেই এ আসনে।
আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে করিমগঞ্জ-তাড়াইলে মনোনয়ন চাইতে পারেন শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ আসাদুল হক,মেজর(অবঃ)মোঃ নাসিমুল হক,করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ,প্রফেসর ডা: আ.ন.ম নৌশাদ খান,যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম খান বাবলু,কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার গোলাম কবির ভূঁইয়া,এড.মোজাম্মেল হক মাখন,ড.আনিছুল হক,মোহাম্মদ মাহফুজুল হক হায়দার,ব্যবসায়ী এরশাদ উদ্দিন প্রমুখ।তাদের অনেকেই মাঠে সরব উপস্থিতি না থাকলেও রয়েছে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে।
অপরদিকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড.জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড.জালাল মোহাম্মদ গাউস,ভিপি সাইফুল ইসলাম সুমন প্রমুখ।তাছাড়া পূর্বের ন্যায় ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে আসতে পারেন প্রভাষক আলমগীর হোসাইন তালুকদার 
আগামী নির্বাচনে জাপা মহাজোটে থাকবে কি না জানতে চাইলে বর্তমান এমপি মুজিবুল হক চুন্নু  বলেন, ‘প্রথমত আমরা এখন মহাজোটে নেই। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরপরই আমরা জোট ছেড়ে দিয়েছি। জোটে যাওয়ার চিন্তাও নেই। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেব।’
জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, সবচেয়ে পুরনো কমিটি দিয়ে চলছে করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।২০০২ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। দীর্ঘ ২১ বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়নি। কমিটির অর্ধেকের বেশি সদস্য মারা গেছেন। অন্যদিকে ২০১৩ সালে তাড়াইল উপজেলায় সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলছেন, ‘বিগত নির্বাচনে মহাজোটে করিমগঞ্জ-তাড়াইল আওয়ামী লীগের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তারা আর এমন ক্ষতি চান না। তারা “করিমগঞ্জ-তাড়াইলের মাটি/ ‘আওয়ামী লীগের ঘাটি”  বলে স্বীকৃত ঐতিহ্যটি ফিরিয়ে আনতে চায়। তারা আরো বলেন,আসন্ন নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে বিন্দু মাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
কারণ তারা বহু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছে। আর নয়। করিমগঞ্জ – তাড়াইলের আওয়ামীলীগ মানে পঙ্গুত্ব বরণ করে এখন মৃত্যুর মুখোমুখি দাড়ানো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category